দক্ষিণ মহাসাগর (Southern Ocean)

দক্ষিণ মহাসাগর 

ক্রমহ্রাসমান আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর  তিনটি মহাসাগর হল প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর  ও ভারত মহাসাগর । 

উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধের অধিকাংশ স্থানে এগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগ হয়েছে।যার ফলে তাৎপর্য পূর্ণ পূর্ণ মিথস্ক্রিয়া

 সেখানে অনুপস্থিত। কিন্তু একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে তিনটি মহাসাগর পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা

 ও আফ্রিকার দক্ষিনে এবং এন্টার্কটিকার উপকূল বরাবর একটি সাগর বেল্ট তৈরি হয়েছে। প্রশস্ত, গভীর ও মেরুবেষ্টনী এ সমুদ্র 

বেল্ট তিনটি মহাসাগরের বৈশিষ্ট্য এনেছে শীতল পরিবেশে। 


এ সাগর অঞ্চলের তাৎপর্য অনুভব করে এবং মেরু অঞ্চলের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলটিকে পৃথকভাবে দক্ষিণ সাগর 

নামকরণ করা হয়েছে। এ অঞ্চলটিকে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ মহাসাগর বলা যায় না, কারণ এর কোনো উত্তর সীমানা নেই।

 তবে এ সামুদ্রিক জল রাশির বৈশিষ্ট্য থেকে উত্তরে সামুদ্রিক সীমা চিহ্নিত করা সম্ভব। ধারণা করা হয়, আজ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি 

বছর আগে এন্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা একে অন্য থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার ফলে দক্ষিণ মহাসাগর এর জন্ম।মহাসাগর গুলোর

 মধ্যে এটিকেই সবচেয়ে নবীন বলে মনে করা হয়।

অবস্থান

পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে যে বিপুল পরিমাণ চলরাশির অবস্থান, সেটিই দক্ষিণ মহাসাগর নামে পরিচিত। দক্ষিণ মহাসাগর এর দক্ষিণে 

জলরাশির অবস্থান ৬০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাং। আন্টার্টিকা কে ঘিরে থাকা বিশাল জলরাশি কে দক্ষিণ মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।


 আকার আয়তন

দক্ষিণ মহাসাগরের আয়তন ২,০৩,২৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার। মহাসাগর গুলোর মধ্যে এটিই আয়তনে চতুর্থ বৃহত্তম মহাসাগর।

 মহাসাগর সর্বোচ্চ গভীরতা ৭,২৩৬ মিটার।



 


Post a Comment

Previous Post Next Post