চশমা যেভাবে এলো (The way the glasses came)

চশমা যেভাবে এলো


চশমা মানুষের চোখের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে থাকে। সাধারণত কাচ দিয়ে তৈরি হয় এবং সেটা নাকের 

উপর এবং দুই কানের সাথে লাগানো থাকে। যাদের চোখে কিছুটা সমস্যা রয়েছে তারা সঠিকভাবে কোন বস্তুকে 

দেখার জন্য চশমা ব্যবহার করে থাকেন।

 


চশমার ইতিহাস অনেক প্রাচীন। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার হায়রোগ্লিফিকসে মানুষের চশমা ব্যবহার আবিষ্কার 

করেন ইতিহাসবিদরা। সাধারণত কোন জিনিসকে পরিষ্কার দেখার জন্য সেই সময় বিভিন্ন ধরনের কাজের 

প্রচলন ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য চোখে কাচের ব্যবহার এর লিখিত প্রমাণ 

রয়েছে। রোমান সম্রাট নিরো একজন শিক্ষক সে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ের বর্ণনার সঙ্গে দূরের জিনিস পরিষ্কার 

ভাবে দেখার জন্য জল মিশ্রিত এক ধরনের কাজ চোখে লাগানোর কথা বলেছিলেন। সত্যি কারের চশমা বলতে 

যা বুঝায়, ১২৮৬ সালের দিকে প্রথম ইতালিতে প্রচলন ঘটে। জিওদার্নো দা  পিসা নামের এক ব্যক্তি প্রথমবারের 

মতো চশমা তৈরি করেন। ওই সময় চোখে আতশি কাচ লাগিয়ে ছোট জিনিসকে দৃষ্টিসীমায নিয়ে আসার জন্য 

চোখের চশমা ব্যবহার করা হতো। 



 

আধুনিক চশমা উদ্ভাবক হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে গীরোলামো সাভোনারোলানামের এক ইতালীয়কে। 

তিনি ১৭৭২ সালে বর্তমান সময়ের চশমার প্রাথমিক নকশাটি তৈরি করেন।ধীরে ধীরে এটির উপায় আধুনিক 

চশমা।এর আগে দুই চোখের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার এড়াতে চোখের সামনে কাচ ধরা হতো।পরবর্তীতে তিনি চশমার 

নকশা নিয়ে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন।




 


Post a Comment

Previous Post Next Post